শ্রীপুরে পঞ্চায়েত প্রথায় মাংস পেয়ে দেড় শতাধিক পরিবারে আনন্দ
ত্যাগের মহিমায় আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার ৫ নং দারিয়াপুর ইউনিয়নের চর মহেশপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার যুবকেরা পঞ্চায়েত প্রথার নিয়ম অনুসরণ করে মাংস বিতরণ করে দেড় শতাধিকেরও বেশি পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। এই উদ্যোগ প্রায় সাত বছর ধরে চলছে এবং এর ফলে কোরবানির মাংস থেকে বঞ্চিত অনেক পরিবার ঈদ আনন্দের অংশীদার হতে পারছে।
সরেজমিনে চরমহেশপুর মধ্যপাড়া ঈদগাহ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, নূর আলী, আজাদ শেখ, মিনার মণ্ডলসহ কয়েকজন যুবক পলিথিন বিছিয়ে মাংস সংগ্রহ করছেন। মহল্লার যেসব পরিবার পশু কোরবানি দিয়েছেন, তাদের সদস্যরা বস্তা ও গামলায় করে গরু ও খাসির মাংস এনে ওজন দিয়ে যুবকদের কাছে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এরপর আরও কয়েকজন যুবক একটি পরিবারের জন্য প্রায় সাড়ে ৭ কেজি গরুর মাংস ও ৭০০ গ্রাম খাসির মাংস পলিথিনের প্যাকেটে ওজন করে রাখছেন। পরবর্তীতে তাদের তালিকাভুক্ত কোরবানি না দেওয়া প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের সদস্যদের হাতে এই মাংসের প্যাকেট তুলে দেওয়া হচ্ছে। তালিকার বাইরের কিছু পরিবারকেও সামান্য পরিমাণে মাংস দেওয়া হয়।
পঞ্চায়েত প্রথার অন্যতম উদ্যোক্তা মুরাদ হোসেন, বিপুল শেখ ও জাকির শেখ জানান, তাঁরা প্রায় সাত বছর ধরে এই পঞ্চায়েত প্রথা চালু রেখেছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা মহল্লার যেসব পরিবার কোরবানি দেন এবং যারা দিতে পারেন না, তাদের একটি তালিকা তৈরি করেন। এই তালিকা ধরে কোরবানি দেওয়া পরিবারগুলোর কাছ থেকে মাংস সংগ্রহ করা হয়। পরে মাংসগুলো সঠিক নিয়মে ওজন দিয়ে প্যাকেট করে কোরবানি না দেওয়া পরিবারগুলোর সদস্যদের কাছে বিতরণ করা হয়। তাঁদের এই উদ্যোগ দেখে এখন পুরো গ্রামেই একই নিয়মে মাংস বিতরণ করা হয় বলেও তাঁরা জানান।
উপকারভোগী ফারুক কাজী, হারুন শেখসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, তাঁদের মহল্লার যুবকেরা প্রায় সাত বছর ধরে এই নিয়মে তাঁদের মধ্যে মাংস বিতরণ করছেন। এই কার্যক্রমে তাঁরা যুবকদের প্রতি অনেক খুশি। এই মহৎ উদ্যোগের ফলে ঈদের আনন্দ সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।