মাগুরায় নিজ বাড়ির টিনের চালের ওপর পড়ে থাকা আমীন উদ্দিন ওরফে আল আমীন (১৯) এর মরদেহ উদ্ধারের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ঘটনায় জড়িত কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। কেন ও কিভাবে ওই তরুণকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়টিও জানতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
গত ৩ জুন সন্ধ্যায় মাগুরা পৌরসভার তাঁতিপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গত ৫ জুন সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের বাবা। নিহত তরুণ আমীন উদ্দিন ওরফে আল আমীন (১৯) পৌরসভার তাঁতিপাড়া এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য তবিবুর রহমানের ছেলে। আমীন মাগুরা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১ জুন রাত ১০টার পর থেকে ওই তরুণ নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার আগে সবশেষ মায়ের সঙ্গে ঘরে বসে আম খাচ্ছিলেন ওই তরুণ। তখন ছেলেকে আম খেতে দিয়ে নামাজ পড়তে যান মা। নামাজ শেষে ফিরে আর ছেলেকে ঘরে পাননি মা। অথচ ছেলের মোবাইল, পায়ে দেওয়া স্যান্ডেল সবই ছিল বাড়িতেই। এরপর থেকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। এরপর ৩ জুন দুপুরে তাঁদের বাড়ির দালান ঘেঁষা টিনের চালের উপর মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের বাবা তবিবুর রহমান বলেন, ‘কে বা কারা করেছে তাতো জানিনা। পুলিশ তদন্ত করছে দেখি কি হয়। আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি’।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত তরুণের পিঠে বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের কোপের দাগ ছিল। খালি গায়ে লুঙ্গী কাছা দেওয়া অবস্থায় তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহে পচন ধরেছিল। মাগুরা সদর থানার ওসি মো. আইয়ুব আলী জানান, এটা হত্যাকাণ্ড এটা নিশ্চিত। তবে কে বা কারা, কখন কিভাবে ও কি কারণে এটি ঘটিয়েছে সে রহস্য এখনো জানা যায়নি। পুলিশের একটি দল তদন্ত করছে।