মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বি (৩৪) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ফরহাদ হোসেন (২২) নিহত হওয়ার ঘটনায় হওয়া দুটি হত্যা মামলার আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এবার গ্রেপ্তার হয়েছেন মামলার ৭ নং আসামী আজীম আহম্মেদ। এ নিয়ে এ মামলায় এজাহারভুক্ত চার আসামী গ্রেপ্তার হলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর ঢাকার কাজী পাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আজীম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের মাগুরা জেলা শাখার উপ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সে পৌরসভার বরুনাতৈল গ্রামের জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে।
পুলিশ বলছে, আজীম ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ফরহাদ হোসেন হত্যা মামলার পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনের আরও একটি মামলার আসামী। রাব্বি হত্যা মামলায় এর ১৩ নং আসামী তৌহিদ মোল্যা, ৯ নং আসামী মো. হেদায়েত কোরাইশ এবং ১২ নং আসামী রাকিব শিকদার গ্রেপ্তার হন। তাঁরা সবাই এখন কারাগারে রয়েছে। এছাড়া এই মামলায় তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় এজাহার নামের বাইরে আরও দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মেহেদী হাসান জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মাগুরা পৌরসভার বরুনাতৈল গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে। আন্দোলনের শেষের দিকে ৪ আগস্ট মাগুরা শহরের ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মেহেদী।
ছাত্রদল নেতা মেহেদী নিহতের ঘটনায় ১৩ আগস্ট তাঁর ভাই ইউনুস আলী বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, বীরেন শিকদারসহ ১৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এই মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে।