মাগুরায় এবার প্রতিবন্ধী শিশু (১৬) গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার দুপুরে মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের একটি গ্রামের পাটক্ষেতে শিশুটিকে দুজন ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গণধর্ষণের অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিশুটির মা। মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় শিশুটিকে প্রায়ই বাড়িতে বেঁধে রাখা হতো। গত শুক্রবার দুপুরে তাকে ঘরে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে বাড়ির কাছেই একটি পাটক্ষেতে তাকে পাওয়া যায়। শিশুটির মা জানান, উদ্ধারের পর তিনি বুঝতে পারেন তার মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা বলছে, যে দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের একজন শিশুটির আপন চাচাতো ভাই। আর অন্যজন প্রতিবেশী। আসামীদের বয়স ২৪ থেকে ২৫ বছর।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আয়ুব আলী জানান, মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের একজন ইতিমধ্যে আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। সেখানে সে বলেছে দুজন মিলে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়।
এদিকে, ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ভুক্তভোগীর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, জুমআর নামাজের পর তিনি মেয়েকে গোসল করিয়ে বারান্দায় রেখে নিজে গোসল করতে যান। ফিরে এসে মেয়েকে আর খুঁজে পাননি। পরে যখন মেয়েকে পাওয়া যায়, তখন তার সারা শরীরে কাদা মাখা ছিল। তিনি এই জঘন্য অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।