মাগুরার নতুন বাজারে পৌরসভার কর্মকর্তাদের অভিযানে দুইশ মরা মুরগী জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
মাগুরা পৌরসভার স্যানিটারী ইনেস্পেক্টর কামরুজ্জামান জানান, নতুন বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের নামে দীর্ঘদিন গোপনে মরা মুরগী বিক্রির অভিযোগ আসছিল। এ ব্যাপারে তাঁকে কয়েক বার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু আজ শুক্রবার ভোর সকালে যখন নতুন বাজার পরিদর্শনে গিয়ে স্যানিটারী ইনেস্পেক্টর কামরুজ্জামান দেখেন, আলমগীর হোসেন ও তার এক কর্মচারী প্রায় ২শ মরা মুরগী বিক্রির জন্য তৈরী করছে।
কামরুজ্জামান বলেন, মরা মুরগী কেন বিক্রি করছে জানতে চাওয়া হলে আমি একা থাকায় আলমগীর আমার উপর চড়াও হয়। এ সময় আমার সহকর্মী রিয়াজুল হোসেনকে পুরাতন বাজারে আনতে গেলে সেই সুযোগে সে তার দোকান থেকে শতাধিক মরা মুরগী সরিয়ে ফেলে। সেই সাথে আলমগীর দোকান থেকে সরেপড়ে। বিষয়টি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তিনি জানিয়েছেন মরা মুরগীগুলো কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে। অফিস খুললে তার আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে অনুযায়ী আমরা মরা মুরগীগুলো পুড়িয়ে ফেরেছি।
কসাইখানা পরিদর্শক রিয়াজুল হেসেন খান জানান, প্রায়ই আলমগীর হোসেন শহরে মাইকিং করে বাজার দর থেকে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমদরে মুরগী বিক্রি করে থাকে। যেটা সুস্থ্য সবল মুরগী বিক্রির ক্ষেত্রে কখনোই সম্ভব না। এ বিষয়ে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল আলমগীরের বিরুদ্ধে। আমরা ধারণা করছি এ জাতীয় মরা মুরগী কম দামে বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে, কাবাব বিক্রেতা ও বিরাণী হাউজে বিক্রি করে থাকে।
এ বিষয়ে আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে দোকানে পাওয়া যায় নি। এ সময় দোকানে কর্মচারী ছিল কিন্তু তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।