সাভার বিপিএটিসি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী তানভীর আহম্মেদ রাজ (২১) বন্ধুদের সঙ্গে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (২৫ আগস্ট) সাভারের পল্লী বিদ্যুতের ডগরতলী এলাকায়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
তবে নিহতের পরিবার দাবি করছে, এটি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়; পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তানভীর।
তানভীর মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের রাজু আহম্মেদের ছেলে। বাবার চাকরির কারণে পরিবারটি সাভারের শাহীবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় তিনি অংশ নিয়েছিলেন এবং বুধবার তাঁর ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন তানভীর। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁর বাবা রাজু আহম্মেদকে ফোন করে তানভীর পানিতে নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন তাঁর সহপাঠী জাবেদ। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় রাতেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বাবা রাজু আহম্মেদ বলেন, “লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয় কিছু লোকজন আমাদের থানা বা হাসপাতালে যেতে বাধা দেয়। মরদেহ সরাসরি বাসায় নিয়ে আসতে বলা হয়। গ্রামের বাড়িতে আনার পর গোসল করাতে গিয়ে দেখি ছেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পানিতে ডুবে মারা গেলে শরীরে এভাবে আঘাত থাকার কথা নয়। তাঁর পেটে পানি ছিল বলেও মনে হয়নি। আমার সন্দেহ, ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
তানভীরের সঙ্গে থাকা বন্ধু জাবেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তাঁর বাবা-মা জানান, ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তবে মামলা করতে চাইলে যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেই থানায় মামলা করতে হবে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানিয়ে দিয়েছি।”
মঙ্গলবার মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ময়নাতদন্ত শেষে তানভীরের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।