1. dainikmagura@gmail.com : magura :
আমাকে অপসারণ করা হয়নি, পদত্যাগ করেছি: মোয়াজ্জেম হোসেন | দৈনিক মাগুরা
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

আমাকে অপসারণ করা হয়নি, পদত্যাগ করেছি: মোয়াজ্জেম হোসেন

দৈনিক মাগুরা ডটকম
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১২২ জন দেখেছেন

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন তার চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়া নিয়ে মুখ খুললেন। নিজের ফেসবুক ওয়ালে এপিএস পদ থেকে পদত্যাগ করার কারণ জানালেন। দিলেন সমালোচনার জবাব। পাঠকদের সুবিধার্থে আমরা তার ফেসবুক পোস্ট হুবহু তুলে দিলাম।

‘আমার পদত্যাগ প্রসঙ্গ

২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের সময় আমি প্রথম বর্ষের ছাত্র। সেই আন্দোলনে যোগদান করি এবং পরবর্তীতে ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে পরিষদের সাথে যুক্ত হ্ই। মাগুরা জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক, পরবর্তীতে সভাপতি ছিলাম। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসাংগঠনিক সম্পাদক হ্ই।

২০২৩ সালে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে রাজনীতি ছেড়ে বিসিএস প্রিপারেশন নিই। ৪৬ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পাস করি। একইসাথে ব্যাংকের অফিসার ক্যাশের প্রিলি পাস করি। জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় আমার ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষা হয় এবং আমি অংশগ্রহণ করি। আন্দোলন পরবর্তী সরকারে আসিফ মাহমুদ দায়িত্বে আসার পর আমাকে কাজ করার অফার করা হলে আমি স্পষ্টভাবে বলি আমার স্থায়ী ক্যারিয়ারের প্রশ্নে যেকোন সময় চাকরি ছেড়ে দিব। গত ১০ মার্চ ২০২৫ ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলে আমি উত্তীর্ণ হ্ই। এরপর বিসিএস লিখিত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হয় ৮ মে এবং ব্যাংকের ভাইভার তারিখ ২২ মে। তাই আমি গত মার্চের ২৫ তারিখে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কাছে পদত্যাগ পত্রটি জমা দিই। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ৮ এপ্রিল পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এবং যেহেতু নিয়োগ প্রদান ও বাতিল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক হয়ে থাকে এজন্য গত ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন হয়েছে। এরপর গণমাধ্যমে পদত্যাগকে অপসারণ হিসেবে ভুল ভাবে উত্থাপন করা হয়।

এসব নিয়ে একদল আমাকে আমেরিকার বাড়িওয়ালা, একদল দুবাইতে রিসোর্ট মালিক বানিয়ে ফেলতেছেন। কেউ কেউ আবার ৩০০ কোটি আবার কেউ ৩০০০ কোটি টাকার মালিক বানাচ্ছেন। আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলি গত ৫ আগস্টের পর আমি এবং আমার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের কারো সম্পদ অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে থাকলে আপনারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন অথবা অভিযোগ জানাতে পারেন। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা নিজেই অভিযোগ আহ্বান করেছেন। দয়া করে সামাজিকভাবে কাউকে অযথা হয়রানি করবেন না।

প্রজ্ঞাপন

দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে অনেক পরিচিত প্রবাসী আমাকে পোশাক গিফট করেছেন। এমনকি আমার ফোনটাও কিনে দিয়েছেন আমার বিভাগের প্রবাসী এলামনাই। এবং সরকারে থাকাকালে প্রয়োজনবোধে সরকারি গাড়িও ব্যবহার করেছি সুতরাং এগুলো দেখে আমাকে যদি ভুলভাবে উপস্থাপন করেন তাহলে আমার প্রতি অন্যায় ছাড়া কিছুই করা হবে না।

আজকে একটি দলের সাধারণ সম্পাদক ফোন করে বললেন তার দলের বেশিরভাগ মানুষ আমার উপর ক্ষ্যাপা কারণ হিসেবে বলছেন আমার আচরণ। অর্থাৎ দায়িত্বে থাকাকালে এপয়েন্টমেন্ট না নিলে দেখা করার সুযোগ দিতাম না কিংবা সবার দাবি পূরণ করা সম্ভব ছিল না। তাদের জন্য বলব ভাই ওটা আমার দায়িত্ব ছিল, এতো এতো মানুষকে ম্যানেজ করা খুব সহজ কাজ ছিল না। অনেকেই অভিযোগ করছেন আমার ভাব বেড়ে গিয়েছিল কারণ আমি ফোন ধরতাম না, মেসেজের রিপ্লাই দিতাম না। এই সকল অভিযোগ কেন্দ্রীভূত হয়ে আমাকে চোর বানাচ্ছেন। অথচ এমন অসংখ্য দিন গেছে দুপুরের খাবার বাসায় গিয়ে খেয়েছি। যাইহোক আমি দেশের জন্য, মানুষের জন্য যা করেছি বা করার চেষ্টা করেছি তার প্রতিদান আল্লাহ নিশ্চই দিবেন ইনশাআল্লাহ।’

পদত্যাগের আবেদন পত্র

আমাকে অপসারণ করা হয়নি, পদত্যাগ করেছি।

(পদত্যাগপত্র এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নোটিশ সংযুক্ত)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২১-২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক মাগুরা.কম
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )

You cannot copy content of this page