মাগুরা ও ফরিদপুরের সীমান্তবর্তী মধুমতি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজের ২৯ ঘণ্টা পর এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মধুমতি নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বৈঠার আঘাতে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ঘটনার ২৯ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকালে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পাচুড়িয়া ঘাট এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার দিবা গত রাত ২টার দিকে চণ্ডিবিলা মাঝিপাড়া ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সৌখিন খান (৪০) মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পাল্লা চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তিনি চার সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তার এক প্রতিবন্ধী কন্যা ও এক অসুস্থ পুত্র রয়েছে।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ১০টার দিকে সৌখিন খান ও হুমায়ূন শেখ নামে এক ব্যক্তি নৌকা নিয়ে চায়না জাল ফেলে মাছ ধরতে যান। একই সময় পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের জব্বার মোল্লা, রবিউল মোল্লা ও অপর একজন একই এলাকায় মাছ ধরছিলেন।
রাত প্রায় পৌনে ২টার দিকে মাছধরা শেষে সৌখিন ও হুমায়ূন বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় জব্বার মোল্লার জালের ওপর দিয়ে নৌকা যাওয়াকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে জব্বার মোল্লা বৈঠা দিয়ে সৌখিনকে আঘাত করলে তিনি নদীতে পড়ে যান এবং নিখোঁজ হন।
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয়রা মহম্মদপুরের পাচুড়িয়া ঘাট এলাকায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের চাচাতো ভাই আলী আফজাল বলেন, ‘আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা একসঙ্গে মাছ ধরছিল, হঠাৎ ঝগড়া বাঁধিয়ে জব্বার মোল্লা ও রবিউল মোল্লা মেরে পানিতে ফেলে দেয়। ভাইয়ের দুই সন্তানকে নিয়ে তার স্ত্রী এখন দিশেহারা। আমরা এর বিচার চাই’।
অভিযুক্ত জব্বার ও তার সহযোগীদের বাড়ি ফরিদপুর জেলায় হওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু ঘটনাটি ফরিদপুরের মধুখালী থানার আওতাধীন এলাকায় ঘটেছে, তাই মামলাটি সেখানে হবে।