মাগুরায় আশ-শেফা ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে সরকারি ওষুধ ও ইনজেকশন জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে কোন চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত সেবিকা না থাকায় ক্লিনিকটি সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া নগদ এক লাখ টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের পূর্ব পাশের সড়কে আশ-শেফা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক নামে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল। তাঁদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানে অংশ নেওয়া সেনা সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা ওই ক্লিনিকে অভিযান চালান। সেখানে সরকারি হাসপাতালে ব্যবহার করার জন্য সরবরাহ করা বেশকিছু ওষুধ ও ইনজেকশন পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু ওষুধ ও ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়েছে, আর কিছু ছিল অব্যবহৃত। অভিযানে অংশ নেওয়া ব্যাক্তিরা জানান, ওই ক্লিনিকে অনৈতিক কার্যক্রম হতো এমন অভিযোগও রয়েছে। সেখানে কোন চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। ছিল না প্রশিক্ষিত নার্সও। ক্লিনিকের পরিবেশ ছারপত্রও নেই।
এসব অভিযোগ থাকায় আশ-শেফা ক্লিনিকের মালিক আবু বক্কর নামে এক ব্যাক্তিকে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া তাৎক্ষনিকভাবে সকল রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করে ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশ-শেফা ডায়াগনস্টিকের মালিক আবু বক্করের এক ভাই মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের অন্যতম ঠিকাদার।