মাগুরা টেক্সটাইল মিলসের পুরাতন মেশিনপত্র দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো গত এক সপ্তাহ ধরে সরিয়ে নিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এটি নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি) এর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে বন্ধ হওয়া মাগুরা টেক্সটাইল মিলস পুনরায় চালুর উদ্যোগের অংশ হিসেবে এটি করা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি) মাধ্যমে কারখানাটি পুনরায় চালুর চেষ্টা করছে বিটিএমসি। কর্মকর্তারা জানান, ১৬ দশমিক ১৭ একর আয়তনের কারখানাটি প্রাথমিকভাবে ৩০ বছরের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি করতে চায় সরকার।
বর্তমানে মিলে যেসব সরঞ্জাম রয়েছে, সেগুলো প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো মডেলের।
বিটিএমসি ও কারখানা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমানে মিলে যেসব সরঞ্জাম রয়েছে, সেগুলো প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো মডেলের। এতে উৎপাদিত সুতার বাজারে চাহিদা কম। পুরোনো মেশিনের বিদ্যুৎ খরচও বেশি। এখানে ব্যবসা করতে হলে নতুন ও আধুনিক মেশিন দিয়েই করতে হবে। এ কারণে পুরনো মেশিনপত্র ও সরঞ্জাম দরপত্রের মাধ্যমে নিলাম করে দেওয়া হয়েছে।
বিটিএমসি ও কারখানা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাগুরা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের স্ক্র্যাপ মেশিনারীজ বিক্রির জন্য গত বছরের ৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় দরপত্র আহবান করা হয়। ভ্যাট, আয়করসহ ৬ কোটি ২৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ঢাকার মোহাম্মদপুরের ‘মেক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিক্রয় আদেশ পায়। সে অনুযায়ী চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে ধাপে ধাপে মেশিনারীজ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
মাগুরা জেলার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কারখানা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮০-৮১ অর্থবছরে মাগুরা পৌরসভার ভায়না এলাকায় মাগুরা-যশোর সড়কের পাশে ১৬ দশমিক ১৭ একর জায়গার ওপর কারখানাটি স্থাপিত হয়। কারখানাটি ১৯৮৫ সালে উৎপাদনে যায়। অব্যাহত লোকসানের মুখে ১৯৯৯ সালে কারখানাটি কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। তখন শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বেচ্ছা অবসরে পাঠানো হয়।