মাগুরার হাজরাপুরী লিচু এবার ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫ এর আলোচনা সভায় সংশ্লিষ্টদের এসব সনদ হস্তান্তর করা। মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। এদিন হাজরাপুরী লিচু সহ ২৪টি পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ দেওয়া হয়েছে।
হাজরাপুরী লিচুর জিআই নিবন্ধন নাম্বার ৩৫। এর সত্ত্বাধিকারী মাগুরার জেলা প্রশাসক। এই লিচুর উৎপাদন অঞ্চল মাগুরা। ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট হাজরাপুরী লিচুর জিআই সনদ পেতে আবেদন করেছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবু নাসের বেগ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর, ইছাখাদা, হাজীপুর, নড়িহাটি, মিঠাপুরসহ প্রায় ২০টি গ্রামের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ লিচুর আবাদ রয়েছে। দেশের অন্য জাতের লিচুর তুলনায় মাগুরার হাজরাপুরের লিচুর স্বাদ আলাদা। এই লিচু টসটসে রসে ভরপুর। আকার ও আকৃতিতেও বড়। হাজরাপুরী লিচু অন্য জাতের লিচুর তুলনায় আগে পাকে ও বাজারে আসে। এ কারণে ব্যবসায়ীদের কাছে এ লিচুর চাহিদা রয়েছে।
জামদানি শাড়ি দেশের প্রথম পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছিল। নতুন ২৪টি মিলিয়ে দেশে মোট জিআই পণ্যের সংখ্যা হল ৫৫টি।
সবশেষ জিআই সনদ পাওয়া পণ্যগুলো হল–
নরসিংদীর লটকন, মধুপুরের আনারস, ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই, মাগুরার হাজরাপুরী লিচু, সিরাজগঞ্জের গামছা, সিলেটের মনিপুরি শাড়ি, মিরপুরের কাতান শাড়ি, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা, কুমিল্লার খাদি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গয়না, সুন্দরবনের মধু, শেরপুরের ছানার পায়েস, সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি, গাজীপুরের কাঁঠাল, কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান, অষ্টগ্রামের পনির, বরিশালের আমড়া, কুমারখালীর বেডশিট, দিনাজপুরের বেদানা লিচু, মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর, নওগাঁর নাকফজলি আম, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ এবং ঢাকাই ফুটিকার্পাস তুলার বীজ ও গাছ।