মাগুরার সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান—মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও মাগুরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়—প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ থাকায় মারাত্মক শিক্ষাগত ক্ষতির মুখে পড়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।
চলতি বছর পাঠ্যবই বিতরণে দেরি হওয়ায় সিলেবাস শেষ করতে নিয়মিত ক্লাস হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। কিন্তু রমজান মাসের ছুটি এবং এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র হওয়ায় এই দুটি বিদ্যালয় ১ মার্চ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
অথচ জেলার অন্যান্য বিদ্যালয়গুলো ঈদের ছুটি শেষে পুরোদমে চালু হয়েছে। সেখানে নিয়মিত পাঠদান ও ক্লাস টেস্ট চলছে। এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, “মাগুরার সবচেয়ে ভালো দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেখানে দীর্ঘ ছুটিতে পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন, অন্য স্কুলে সেখানে পুরোদমে ক্লাস চলছে। এটা এক ধরনের বৈষম্য।”
জুন মাসে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ছুটির কারণে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতির অভাবে পড়েছে। ফলে অনেকেই প্রাইভেট শিক্ষকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।
সুলতানা নামে এক অভিভাবক জানান, “স্কুল বন্ধ থাকায় ছেলেমেয়েরা বই মুখে নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে প্রাইভেট দিচ্ছি, কিন্তু খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।”
দীর্ঘ বিরতির ফলে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা বিমুখ হয়ে পড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। তারা দ্রুত বিদ্যালয়গুলো খুলে নিয়মিত ক্লাস চালুর দাবি জানিয়েছেন এবং শিক্ষা বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।