গোপালগঞ্জ থেকে ব্যবসার কাজে মাগুরায় এসেছিলেন পাঁচ যুবক। সাজিয়াড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার তাঁদেরকে জিম্মি করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে স্থানীয় কিছু যুবক। তাঁদেরকে রাতে নানাভাবে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে বুধবার রাতে তালা ভেঙে ওই পাঁচ যুবককে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
একই সময় এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইশতিয়াক আহমেদ শান্ত (২৭) নামে এক যুবককে আটক করে সেনাবাহিনী। সে পৌরসভার সাজিয়াড়া এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে।
জিম্মি করে নির্যাতন ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে একজনকে আটক করে যৌথ বাহিনী।
জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার হওয়া যুবকেরা হচ্ছেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ফা গ্রামের রাজীব সরদার (২৪), হৃদয় সরদার (২১), বাবু শেখ (২৪), ওসমান শেখ (২৪) ও রিয়াদ ইসলাম (২৩)। তাঁরা গত ২১ মে বিভিন্ন ধরণের ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রির উদ্দেশ্যে মাগুরায় আসেন। তাঁরা সাজিয়াড়া এলাকায় ‘এম এস ছাত্রাবাস’ নামে একটি মেসে দুটি কক্ষ ভাড়া নেয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই এলাকার ইশতিয়াক আহমেদ শান্তসহ ৮ থেকে ১০ জন তাঁদেরকে বাড়িতে জিম্মি করে নির্যাতন করে। তাঁদেরকে মারধোর করার পাশাপাশি হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। বাড়িতে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করতে বলা হয় বলেও অভিযোগ মুক্তি পাওয়া ওই পাঁচ যুবকের।
জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার হওয়া ৪ যুবক।
মাগুরা সেনাক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবকদের আটকে মারধোর করার একটি ভিডিও চিত্র তাঁদের হাতে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চার যুবককে পাশাপাশি দেওয়ালের দিকে দুহাত উঁচু করে দাড় করিয়ে একজন লাঠি দিয়ে তাঁদেরকে পেটানো হচ্ছে। বুধবার দুপুরে খবর পেয়ে সাজিয়াড়া গ্রামের ‘এম এস ছাত্রাবাস’ ও তাঁর পাশে মোঃ মহসিন নামে একজনের বাড়ি থেকে তালা ভেঙে ওই পাঁচ যুবককে উদ্ধার করা হয়। পরে এম এস ছাত্রাবাস নামে ওই মেস বাড়ি থেকে মাদক সেবনে ব্যবহৃত ফয়েল পেপার, কলকে, নির্যাতনে ব্যবহৃত লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে সেনাবাহিনী। রাত ১০টার দিকে আটক যুবক ও জব্দ করা মালামাল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মাগুরা সদর থানার ওসি মোঃ আইয়ুব আলী সাংবাদিকদের জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ যুবককে উদ্ধার করে। মামলা হলে বিস্তারিত তথ্য জানান হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।