সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে “শিক্ষা, গণতন্ত্র ও মনুষ্যত্ব রক্ষার সংগ্রামের ৪ দশক” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, বৈষম্যহীন, একই পদ্ধতির গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা চালুর দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মাগুরা জেলা শাখার উদ্যোগে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সকাল ১১টায় ৩ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর মাগুরা জেলার সংগঠক গোলাম পারভেজের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ মাগুরা জেলা শাখার আহ্বায়ক প্রকৌশলী শম্পা বসু ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লাবনী সুলতানা।
বক্তাগণ বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। কিন্তু শিক্ষার ব্যয়ভার দিন দিন বেড়েই চলেছে। শিক্ষা হওয়ার কথা ছিল সর্বজনীন বৈষম্যহীন অর্থাৎ সবার জন্য সমান অধিকার। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী শিক্ষাকে অধিকার না, পণ্যে পরিণত করেছে। কে কেমন মানের শিক্ষা পাবে বা আদৌ শিক্ষা পাবে কিনা তা নির্ভর করছে টাকার উপর। “টাকা যার শিক্ষা তার” এই হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষানীতি। কাগজ, কলম, বই, খাতাসহ সকল শিক্ষা উপকরণের দাম একবছরে দ্বিগুণ বেড়েছে। ইউনেসকোর এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে ব্যয়ের ৭১ শতাংশই বহন করতে হচ্ছে পরিবারগুলোকে।
বক্তাগণ আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে এ সকল অব্যবস্থার মধ্যে মাগুরা জেলায় শিক্ষার মানের বেহাল দশা বিশেষভাবে দেখতে পাওয়া যায়। এই জেলায় কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই। জেলার প্রধান প্রধান কলেজে নিয়মিত ক্লাস হয় না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত এইসব কলেজে বছরে ২০০ দিন ক্লাস হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৭০/৮০ দিন ক্লাস হয়। শিক্ষক সংকট অত্যন্ত তীব্র। কলেজের কোন পরিবহণ ব্যবস্থা নেই। ছাত্রদের জন্য কোন হল নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের অনেক খরচ বহন করতে হয়। শিক্ষার্থীরা নিজের পড়াশোনার চেয়েও পার্ট টাইম চাকরি বা টিউশনি করানোর দিকে মনোযোগী হয়ে যায়। যা তার শিক্ষা জীবনকে ব্যাহত করে। শিক্ষাক্ষেত্রে এ সকল সংকট দূর করতে এবং শিক্ষার অধিকার রক্ষার দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।