মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মীর শহিদুল ইসলাম বাবুকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার (২ মে) দুপুরে মাগুরা পৌরসভার ভিটাসাইর গ্রামে একটি বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে তিনি হামলার শিকার হন। খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে তাঁদের সামনে ওই নেতার উপর দ্বিতীয় দফায় হামলা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ওই নেতাকে উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর ভিটাসাইর গ্রামের জামাল মোল্লার বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা বাবু মীর। খাবার খেয়ে বের হওয়ার আগ মুহূর্তে, ওই বাড়ির ভেতরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপরে হামলা চালায় কয়েকজন যুবক। এ সময় দৌড়ে তিনি ঘরের মধ্যে ঢুকে রক্ষা পান। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল তাঁকে উদ্ধার করতে ওই বাড়িতে যায়। পুলিশ উদ্ধার করে ওই ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলতে গেলে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে বাবু মীর জানান, কে বা কারা কি কারনে তাঁর উপরে হামলা করেছে সে বিষয়ে জানেন না তিনি।
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সূত্রে জানা যায়, হাতে ও পিঠে কয়েক জায়গায় জখম নিয়ে বাবু মীর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে কিছুক্ষণ পরে সেখান থেকে চলে গেছেন। পুলিশের কাছেও বাবু মীর কোন অভিযোগ দেয়নি বলে জানা গেছে।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভিটাসাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে যুবদলের এক নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ওই নেতাকে তখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেও বাঁধা দেওয়া হয়। ওই হামলার প্রায় এক বছর পরে ওই যুবদল নেতা মারা যান। স্থানীয়দের দাবি, ওই হামলার প্রতিশোধ নিতেই যুবদল নেতার স্বজনেরা বাবু মীরের উপর হামলা চালান। তাঁদের দাবি যুবদলের উপর ওই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন কাউন্সিলর বাবু মীর।