দিনে মাছি রাতে মশা-বিখ্যাত উক্তিটি কবি ইশ্বরচন্দ্রের গুপ্তের। তবে কবি কলকাতার কথা লিখলেও একই দশা মাগুরায়। মুলত তিনি দিনের বেলায় মাছির উৎপাত ও রাতের বেলায় মশার কামড় নিয়েই কবিতাটি রচনা করেন। মাগুরায় মশার যন্ত্রনা প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও চরম আকার ধারন করেছে। বিশেষ করে মাগুরা পৌরসভার ওলিতে-গলিতে মশার উপদ্রব বেশি। আর এই মশার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে পৌর কতৃপক্ষের নেই কোন উদ্দ্যোগ। লোক দেখানো কিছু মশা নিধনে ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা হয়নী। মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেএই জনপদের সাধারণ মানুষ। এ জেন দেখার কেউ নাই!
স্থানীয় বাসিন্দরা জানায়, পৌর এলাকায় খোলা ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ময়লা পরিবেশ এর জন্য দায়ী। পৌর কতৃপক্ষকে এ বিষয়ে বার বার জানানো হলেও পদক্ষেপ নেয়া হয়নী।
এ বিষয়ে পৌর সভার এক কর্মকর্তা জানান, মশা নিধনে তাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে মশার মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়াই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল হালিম জানান, পৌর কতৃপক্ষের এ আশ্বাস শুধু কথার কথায় থেকে যায়। বাস্তবে এর কোন প্রতিফলন দেখা যায় না। তিনি দাবি করেন রমজান মাসে তারাবি নামাজ পড়তে গেলে মশার মুসল্লিদের বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।তাই অবিলম্বে মশা নিধন বাস্তবে প্রতিফলন মাগুরা বাসি চায়।