ক্রিকেটে মাগুরার অবস্থান ৬৪ জেলার মধ্যে কততম? এই মুহূর্তে এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে সেরা আটের মধ্যে আছে মাগুরা জেলা ক্রিকেট দল। জাতীয় দল কিংবা বিপিএল-ডিপিএল মতো জমকালো আসরের বাইরেও এমন একটি প্রতিযোগিতা রয়েছে, যা দেশের প্রতিটি কোণে ক্রিকেটের শেকড়কে আরও দৃঢ় করে। সেটিই জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ (এনসিসি)। দেশের ৬৪টি জেলা দলের অংশগ্রহণে চলমান এই টুর্নামেন্ট মূলত জেলা ক্রিকেটের বিশ্বকাপ। সেই মঞ্চে প্রথম রাউন্ডে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় নিয়ে মাগুরা এখন সেরা আটে।
জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে ৬৪টি জেলা দল দুই স্তরে ভাগ হয়ে খেলছে। যেখানে প্রথম স্তরের সেরা ৮ দলের একটি হয়ে দ্বিতীয় পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে মাগুরা। এবার মাগুরার খেলার ভেন্যু ছিল জামালপুর জেলা স্টেডিয়াম। সেখানে মাগুরার প্রতিপক্ষ ছিল কুষ্টিয়া, নারায়ণগঞ্জ ও নীলফামারী জেলা ক্রিকেট দল। তিনটি দলই ব্যাট বলের লড়াইয়ে মাগুরার ছেলেদের কাছে ধরাশায়ি হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) সবশেষ খেলায় নীলফামারী জেলা দলকে ৬ উইকেটে পরাজিত করেছে মাগুরা। প্রথমে ব্যাট করে ২৪ ওভার ব্যাট করে মাত্র ৪১ রানে অল আউট হয়ে যায় নীলফামারী। ৭ ওভার ৪ বল ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে সেই রান টপকে যায় মাগুরার ছেলেরা। ৩ উইকেট নিয়ে এই ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন মাগুরার স্পিনার নাজমুল সজল। এ নিয়ে তিন ম্যাচের তিনটিতেই ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে তিন ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার।
কোচ জাহিদুল ইসলাম কোটনের সঙ্গে খেলোয়াড়েরা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আয়োজিত জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপে গত ১৫ মার্চ প্রথম ম্যাচে কুষ্টিয়াকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে মাগুরার ছেলেরা। সেদিন কুষ্টিয়া প্রথমে ব্যাট করে ১৫১ রানের লক্ষ্য দেয়। ৫ উইকেট হাতে রেখে মাগুরার ব্যাটাররা সেই রান টপকে যায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন অধিনায়ক আসলাম। ১৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ১৩৭ রানের লক্ষ্য দেয় মাগুরা। তবে ২৯ ওভারে ৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় নারায়ণগঞ্জ। ৪৫ রানে জয় পায় মাগুরা।
দ্বিতীয় পর্ব হলো চূড়ান্ত লড়াই। এই পর্বে ম্যাচগুলো হবে ৯০ ওভারের লাল বলের ক্রিকেটে। দুই ভেন্যুতে ১২টি ম্যাচের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত ফাইনাল নির্ধারিত হবে। গ্রুপ পর্ব শেষে সেরা দুই দল খেলবে তিন দিনের ফাইনাল, যেখানে প্রথম ইনিংসে ৯০ ওভার এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ ওভার খেলার সুযোগ থাকবে। ৬৪ জেলার এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে হবে চ্যাম্পিয়ন, কোন কোন দল নজর কাড়বে, আর কোন ক্রিকেটাররা জাতীয় পর্যায়ে আলো ছড়ানোর জন্য প্রস্তুত হবেন তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আসরের শেষ পর্যন্ত।