1. dainikmagura@gmail.com : magura :
আইনবহির্ভূতভাবে তামাক কোম্পানীর অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বিবৃতি | দৈনিক মাগুরা
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:০২ অপরাহ্ন

আইনবহির্ভূতভাবে তামাক কোম্পানীর অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বিবৃতি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৩৭ জন দেখেছেন
Oplus_131072

আইনবহির্ভূতভাবে তামাক কোম্পানীর অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে নির্বাহী পরিচালক জনাব ঊতীয়া ইসলাম বলেন, তামাক বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে অন্যতম প্রধান প্রতিবন্ধক। বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তামাক ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি। দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের এক-তৃতীয়াংশ তামাক ব্যবহার করে। তামাকজনিত রোগের কারণে প্রতিবছর ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে, যা ওই বছরের মোট মৃত্যুর ১৩.৫ শতাংশ। বাংলাদেশে ৯২ শতাংশ শিশু ‘সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিং’ বা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে।

বর্তমানে জনগোষ্ঠীর ৪৯ শতাংশ বয়সে তরুণ। বাংলাদেশে ১৩-১৫ বছর বয়সি শিশু-কিশোরদের মধ্যে তামাক ব্যবহার করে ৯ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা, যা জিডিপির প্রায় ১.৪ শতাংশ ছিল।

বাংলাদেশে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫‘ বিদ্যমান রয়েছে। উক্ত আইনের ধারা (৫) এ তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিধানে তামাকাজাত দ্রব্যের বিজ্ঞপন প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তামাকজাত দ্রব্যে বিক্রয়ে কোন ধরণের প্রলুবদ্ধকরণ কাজ নিষিদ্ধ করা আছে। সিএসআর নামে কোন ধরণের প্রচারণা করা যাবে না সেটি উল্লেখ করা আছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে এসমস্ত বিষয়ক কর্মকান্ড সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা থাকলেও আইন লঙ্ঘণ করে তামাক কোম্পানীগুলি প্রতিনিয়ত এই কর্মকান্ডগুলি করে যাচ্ছে। যা সুস্পষ্টভাবে অপরাধমূলক কার্যক্রম হিসাবে বিবেচিত। তারা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিনিয়তো আইন লঙ্ঘণ করে যাচ্ছে। এভাবে আইন লঙ্ঘণ করার দু;সাহস তামাক কোম্পানীগুলি কোথায় পাচ্ছে এটা আমাদের কাছে একটি বিস্ময়কর ভাবনা। একই সাথে এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হওয়াতে আমরা হতাশাবোধ করছি।

বর্তমানে সিগারেটের বিকল্প হিসাবে কম ক্ষতিকর এই প্রচারণার মাধ্যমে ই-সিগারেট বাজারজাতকরণ করা হচ্ছে। এর প্রধান ভোক্তা দেশের কিশোর-তরুণ সমাজ। প্রকৃতঅর্থে ই-সিগারেট এবং সিগারেটের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। উভয় মানবদেহে এইকই ধরণের ক্ষতি করে।

ক্যানসার বিশেষজ্ঞদের মতে, ই-সিগারেট ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করে এর কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর প্রভাব সাধারণ সিগারেটের চেয়েও ক্ষতিকারক। ই-সিগারেটের তরল মিশ্রণের (ই-লিকুইড) মধ্যে থাকে প্রপেলিন গ্লাইসল, গ্লিসারিন, পলিইথিলিন গ্লাইসল, নানাবিধ ফ্লেভার এবং নিকোটিন। গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রাসায়নিকগুলো থেকে সাধারণ সিগারেটের ধোঁয়ার সমপরিমাণ ফরমালডিহাইড উৎপন্ন হয়। এর ধোঁয়ায় এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো থেকে ক্যানসার হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সাধারণ সিগারেটের চেয়ে ই-সিগারেট দশগুন বেশি ক্ষতিকারক। সবচেয়ে বড় কথা, ই-সিগারেট দিয়ে ধুমপান কখনো ছাড়া যায় না। তামাক কোম্পানীগুলি অবৈধ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ই-সিগারেটের বাজার তৈরি করছে দেশে।

বিবৃতিতে দেশের জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে কর্মক্ষম তরুণ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন লঙ্ঘণ করে তামাক কোম্পানীর অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করার লক্ষে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এসডিজি-৩ লক্ষ্য অর্জণ করতে হলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে না পারলে অভিষ্ট লক্ষে পৌছানো অসম্ভব ব্যাপার হবে।

এ বিষয়ে অনতিবিলম্বে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২১-২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক মাগুরা.কম
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )