 
																
								
                                    
									
                                 
							
														স্বাস্থ্য বিধির সরকারী নির্দেশনা অনুসরন না করেই মাগুরা সদর উপজেলায় জগদল সম্মিলনী কলেজ খুলে দেয়া হয়েছে। রোববার থেকে সরকার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও জগদল সম্মিলনী কলেজে দ্বিতীয় দিনেও স্বাস্থ্য উপকরন ব্যতিরেকে শ্রেণিকক্ষে বিদ্যুৎ না থাকা এবং অপরিচ্ছন্নতার কারনে ক্লাস হয়নি।

নোংড়া অবস্থায় পড়ে আছে ক্লাস রুম। ছবি : দৈনিক মাগুরা
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দেড় বছর পর ক্লাস করতে এসে দেখি ক্লাস রুম গুলো অপরিচ্ছন্ন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। সকল ক্লাস রুমে ময়লা, বেঞ্চ মোছা হয়নি, শ্রেণি কক্ষে ফ্যান নেই। যে জন্য কোন ক্লাসই হয়নি রবিবার এবং সোমবার। পুরো কলেজে আমরা পরিচ্ছন্নতা চাই, ক্লাস ঠিক মত করতে চাই। এছাড়া কলেজের কোথায়ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, তাপ মাপার যন্ত্র ও হ্যান্ড সেনিটাইজার কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
জগদল সম্মেল্লনী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আসমা আক্তার বানু বলেন, প্রথম দিন ক্লাস হয়েছে তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম ছিল। এমনকি দ্বিতীয় দিনেও ক্লাস হবার কথা তিনি দাবি করেছেন।
তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার যে উপকরন তা কলেজে পর্যাপ্ত এখনো নেই বলে তিনি জানান।

কলেজের সুইচ বোট বিকল হয়ে দৃর্ঘদিন পড়ে আছে। ছবি : দৈনিক মাগুরা
কলেজের ইংরেজী প্রভাষক রুহুল আমীন জানান, স্বাস্ত্য উপকরন গুলো ক্রয় করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানি। তবে ক্লাস প্রথম দিন থেকে দ্বিতীয় দিন মোটামুটি হয়েছে।
একই কলেজের সহকারী অধ্যাপক শরীফ তেহরান আলম বলেন, কলেজটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সবখানে নোংরা হয়ে আছে। সবাই সম্মিলিত ভাবে পরিচ্ছন্নতার কাজ করছি। ক্লাস প্রথম দিন হয়নি তবে দ্বিতীয় দিন একাধারে পরিচ্ছন্নতার কাজ চলেছে পাশাপাশি ক্লাসও চলেছে। তবে স্বাস্থ্য উপকরনের ব্যবস্থ্যা চোখে পড়েনি।

ছবি: দৈনিক মাগুরা
অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ অধ্যক্ষ আবু তাহের আলী বলেন, নোংরা আবর্জনা কোথাও নেই। ক্লাস হয়েছে ঠিকমতই। শিক্ষার্থীরা যা বলছে তা সঠিক নয়। স্বাস্থ্য উপকরন কেনা হবে। আমাদের কলেজে সকল শিক্ষর্থী মাস্ক ব্যবহার করছে।
এ বিষয়ে কলেজ সভাপতি কামরুজ্জামান সাথে বার বার চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ ছয় মাস যাবত আমেরিকায় অবস্থান করছেন।